,

নবীগঞ্জে ছেলের হামলায় সৎ মা গুরুতর আহত ॥ হামলাকারী গ্রেফতার

সুমন আলী খাঁন ॥ নবীগঞ্জে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছেলের হামলায় সৎ মা সাহিদা বেগম (৬০) গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ
ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন আহত মহিলার ছেলে মোঃ মহসিন মিয়া (৩৮)। মামলা দায়েরের পরপরই হামলাকারী বাছিত মিয়া (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ আগনা গ্রামের মদরিছ মিয়া প্রায় ৪ আগে মারা যান। তার মারা যাওয়ার পর থেকে তার ২য় স্ত্রী সাহিদা বেগম (৬০) এর সঙ্গে বাড়ীর জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল মৃত মদরিছ মিয়ার ছেলে আব্দুল বাছিত (৪৫) ও আব্দুল মমিন (৫০)-এর।
সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সৎ মা সাহিদা বেগমের সাথে প্রায় সময়ই ঝগড়ায় লিপ্ত হতো সাহিদার সৎ ছেলে বাছিত ও মমিন। বিষয়টি মিমাংসা করতে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ আহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত থেকে বাড়ীর জায়গা সমান ভাগে দুই পক্ষকে ভাগ করে তাদেরকে তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেন।

গত সোমবার সাহিদা বেগম (৬০) তার বাড়ির উঠানে সবজি চাষের জন্য জন্য বীজ রোপন করছিলেন। এমন সময় তাকে বাধা দেয় তার সৎ ছেলে আব্দুল বাছিত (৪৫) ও আব্দুল মমিন (৫০)। এতে সাহিদা বেগম প্রতিবাদ করলে বাছিত ও মোমিন তাদের সৎ সাহিদা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে তারা তাদের সৎ মা সাহেদা বেগমকে লোহা লাগানো বাঁশের লাঠি দিয়ে কোমরে বারি মেরে মাটিতে ফেলে বুকের ডান পাশে ঘা মারে। এতে সাহেদা বেগম গুরুতর আহত হন। তার শোর চিৎকারে সাহিদার ছেলে মহসিন মিয়া ও আফরোজ মিয়া তাকে উদ্ধার করতে বের হলে বাছিত মিয়া তার সৎ ভাই আফরোজ মিয়া ও তার চাচাতো ভাই সাব্বির আহম্মদকে হাতে থাকা লোহা লাগানো বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতারি হামলা করে তাদেরকেও আহত করে। পরে তাদের শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারী বাছিত ও মোমিন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাহিদা বেগম, আফরোজ মিয়া ও সাব্বির আহম্মদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। কিন্তু সাহেদা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে সাহিদা বেগমের ছেলে মোঃ মহসিন মিয়া বাদী হয়ে তার সৎ ভাই আব্দুল বাছিত (৪৫) ও আব্দুল মমিন (৫০) এর বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শামছুদ্দিন খাঁন বলেন, ‘বাছিত গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, সেই সাথে ঘটনার আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে।’


     এই বিভাগের আরো খবর